Image description

ছুটির দিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর জমে ওঠেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গনে বিকেলে থেকে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। মেলার স্টলগুলোতে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এতে করে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। 

আয়োজক ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেলায় লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়েছে।দুপুর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী মেলায় প্রবেশ করে। বিকেল থেকে ঢল নামে। এতে মেলা প্রাঙ্গণের কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল থেকে মেলার গেটে টিকেট সংগ্রহ করতে কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। অতপর গেটে প্রবেশ করতেই ক্রেতা দর্শনার্থীদের ঢল নামে। মেলার স্টলগুলোতে পা ফেলার জায়গা ছিল না। মেলার একপাশে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অর্থাৎ কনসার্টের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা হতেই সেখানে উৎসুক দর্শনার্থীদের ঢল নামে। তারা নেচে গেয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন। ফলে এবারের মেলার আসরে গানের আয়োজন নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।

উত্তরা থেকে মেলায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, বিকেল থেকে মেলায় অনেক লোকসমাগম হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ার অনেক ভিড় হয়েছে। ভিড়ের কারণে মেলায় ঢুকতে কষ্ট হয়েছে। তবুও বন্ধুদের নিয়ে মেলা ঘুরে দেখেছি। খাবারের দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল। তাছাড়া মেলার এক পাশে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এটা বেশ ভালো লেগেছে।বন্ধুদের নিয়ে বেশ উপভোগ করেছি।

পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে মেলায় এসেছেন শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার। তিনি বলেন, এবারের মেলায় ছাত্র আন্দোলনের অনেক স্মৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জুলাই চত্বর, শহীদ মুগ্ধ কর্ণার সহ জুলাই- আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কিছু এই মেলায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এসব দেখে খুব ভালো লাগছে। এছাড়া মেলায় শিশু মিনি পার্ক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা খুব ভালো লেগেছে। এছাড়া আজকে শীতের তীব্রতা কম থাকায় লোকসমাগম অনেক বেশি হয়েছে। 

মিয়াকো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী আনিস আলম বলেন, ছুটির দিনে অনেক লোক হয়েছে। আজ বেচা বিক্রিও অনেক বেশি হয়েছে। আজ লোকসমাগমও অনেক বেশি হয়েছে। দোকানে পণ্য বেচা বিক্রির ধুম পড়েছে। আশা করছি, একভাবে কয়েক দিন বিক্রি করতে পারলে বেশ ভাল হবে। 

নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ নামের কাপড় বিক্রির ব্যবসায়ী নাহিদ হাসান বলেন, মেলার শুরুতে শীতের তীব্রতা সহ নানা কারণে সেভাবে জমে উঠেনি। তবে আজ লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়েছে। বেচা বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। 

এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, ছুটির দিন হওয়া আজ অনেক লোক সমাগম হয়েছে। হাজার হাজার ক্রেতা দর্শনার্থী মেলায় এসেছে। এই সংখ্যা লক্ষাদিক ছাড়িয়ে যাবে। আমরা আমাদের আয়োজনের কোন কমতি রাখি নাই। ফলে আমাদের প্রত্যাশা বিগত সময়ের চেয়ে এবার অনেক বেশি হবে।
 
প্রসঙ্গত, এবারের মেলার আসরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্তোরাঁ আছে। দেশীয় উৎপাদক-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে শত ভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি