Image description

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ডুবন্ত অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিলেও সেটি বর্তমানে সরকারের জন্য নতুন চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আইএমএফের ঋণ সহায়তার শর্ত হিসেবে আর্থিক খাত সংস্কার এবং রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চাহিদা উত্থাপিত হলেও তা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। শর্ত অনুযায়ী, আর্থিকখাতের নানা সংস্কারের সাথে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে জিডিপির দশমিক ৬ শতাংশ হারে। ফলে আয় তো বাড়েই নি, বরং, ছয়মাসে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহেদ হোসেন বলেন, ‘কাঠামোগত সংস্কার এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া এই সংকট কাটানো সম্ভব নয়।’ একইভাবে এমআইটির হামফ্রে ফেলো মামুনুর রহমান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘ছয় মাস আগে আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে ছিলাম যখন এক-দুই মাসের খরচ চালানোর সক্ষমতাও ছিল না।’

সরকার সংকট মোকাবিলায় ভ্যাট আরোপের মাধ্যমে শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর কর বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এই পদক্ষেপও প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং, এতে বড় ধরনের মূল্যস্ফীতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা জনগণের জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ ফেলছে।

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের বিদেশি অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তবে, আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ড সভা না হওয়ায় এটি এক মাস পিছিয়েছে। যদিও এটি বড় কোনো সংকট তৈরি করবে না, তবে দেশের অর্থনীতিতে নতুন করে ভোগান্তির মাত্রা বাড়তে পারে।

মানবকণ্ঠ/আরআই