Image description

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে।

তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজারে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে সেই খাদ্য যায় না। গুদামে পড়ে থাকে, লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনোভাবেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটি নিশ্চিত করবো।

তিনি বলেন, আজকে অনেক দীর্ঘ মিটিং হয়েছে, অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সারের গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তার বিষয় রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ ও রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। এখন অন্য পণ্যে দাম বাড়বে-কমবে। আমি বলেছি একজন মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে।

তিনি বলেন, রমজান চলে আসছে, আমরা বাজার মনিটরিং আরও বাড়াব। সেটি ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। আমিও তাদের বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার জন্য। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয়।

তিনি আরও বলেন, রমজানে আমরা এটি নিশ্চিত করব। আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয়, সেটি আমরা নিশ্চিত করব।