Image description

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়েনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দরে। যদিও ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এ রেলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, তবে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে এই সিদ্ধান্তের কোনো বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।

দর্শনা রেলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু জানান, “নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে এই রেলবন্দরের কোনো বাণিজ্যিক যোগাযোগ নেই। আমরা শুধু ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করি। তাই ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণে আমাদের এখানে কোনো সমস্যা হয়নি।”

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হকও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহারের সুযোগ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় থাকলেও, দর্শনা রেলবন্দর শুধু ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানির জন্য ব্যবহৃত হয়। ফলে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব এখানে পড়েনি।”

তিনি আরও জানান, “গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখা গেলেও রেলপথে পণ্য পরিবহণ অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের মতো গতি নেই। ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন।”

অন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর ভাষ্য, দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহণ সময় ও খরচ উভয় দিক থেকেই লাভজনক। তাই এখানকার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকায় ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত।

উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানায়। এর ফলে বাংলাদেশ ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠানোর সুযোগ হারায়। তবে দর্শনা রেলবন্দরের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।