নিম্ন আদালত কর্তৃক ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠানোর পর দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুন তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
আল্লুকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে নিম্ন আদালতে হাজির করেছিল তেলঙ্গানা পুলিশ। এই আদালত অভিনেতার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আল্লু অর্জুনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন মঞ্জুর করে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। জামিনের আগেই আল্লু অর্জুন হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছান।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে জুবিলি হিলসের আল্লু অর্জুনকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তেলঙ্গানা পুলিশ। গত সপ্তাহে পুষ্পা ২-এর প্রিমিয়ার শো-এর সময় হায়দরবাদে একটি সিনেমা হলে প্রবল ভিড় হয়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান এক মহিলা। তাঁর নাবালক ছেলে গুরুতর জখম হয়। অভিযোগ ছিল, আগে থেকে না জানিয়ে আল্লু অর্জুন এবং তাঁর টিম হলে পৌঁছেছিল। তারকাকে দেখার জন্য প্রবল ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
হায়দরাবাদ পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষ, অর্জুন এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫, ১১৮(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই চিক্কাদপল্লী থানায় এই মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। গোটা ঘটনার নেপথ্যে দায়ী যাঁরা, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন হায়দরাবাদ পুলিশের ডিসি।
আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারের পর মৃত নারীর স্বামী জানিয়েছেন, আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চান তিনি। পদদলিত হয়ে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আল্লুকে দায়ী করতে চান না তিনি। মৃতা রেবতির স্বামী ভাস্কর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ওইদিন সন্ধ্যা সিনেমা হলে গিয়েছিলাম, কারণ আমার ছেলে পুষ্পা সিনেমাটি দেখতে চাচ্ছিল। আল্লু অর্জুন ওইদিন হলে আসার পর যা ঘটেছে, এতে তাঁর কোনো দোষ নেই। আমি মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত। আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করা হবে, এমন তথ্য পুলিশ আমাকে জানায়নি। হাসপাতালে বসে আমি টিভিতে খবরটি দেখেছি।’
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments