
ছোটপর্দার অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা, এখন বড়পর্দারও অভিনেত্রী। ‘নট আউট’ নাটকের মধ্যদিয়ে শোবিজে পা রাখেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। নাম লিখিয়েছেন সিনেমাতেও। ‘ভয়ংকর সুন্দর’র মধ্যদিয়ে সিনেমায় তার আত্মপ্রকাশ। বর্তমানে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন আশনা হাবিব ভাবনা।
এর মধ্যে অভিনয় করলেন চ্যানেল আইয়ের গোয়েন্দা সিরিজ ‘ছোটকাকু’র নতুন পর্বে। ঈদে আসবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিও। সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।
সম্প্রতি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় কোরেছেন ভাবনা। শর্টফিল্মটির নাম ‘কামনা’। বানিয়েছেন মৌমিতা। তিনি আগে অভিনয় করতেন।
এখন নির্দেশনা দিচ্ছেন। এটা তাঁর প্রথম নির্মাণ। তো আমাকে প্রস্তাব দেওয়ার পর ভাবলাম, একজন নতুন নির্মাতাকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায়, আবার গল্পটাও ভালো। তাই ছবিটি করলাম। যেহেতু শর্টফিল্ম, ছোট দৈর্ঘ্যের ছবি।
তাই গল্প নিয়ে কিছুই বলতে চাচ্ছি না। এটুকু বলি, গল্পটা থ্রিলার। ঈদে মুক্তি পাবে।
তৃতীয়বার ছোটকাকু সিরিজে অভিনয় করেছেন ভাবনা। গত দুই ঈদ ধরে আমি সিরিজটি করে আসছি। ছোটকাকু সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ হয়। কাস্টিং তালিকা দেখলে এটা বুঝতে পারবেন। এখানে আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, শহীদুজ্জামান সেলিমের মতো গুণী শিল্পীরা আছেন। সুতরাং শুটিংয়ে সময়টা কেমন কেটেছে, তা এমনি অনুমান করা যায়। আফজাল আঙ্কেল তো আমার পরিবারের মতো। তাঁর যে শিল্পচর্চা, বোধ, সেখান থেকে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু শিখি।
ভাবনা অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন। ঈদের বেশ কিছু ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হবে। আমি তো নাটক করি না। ফলে ঈদ উপলক্ষে ১০-২০টা নাটক আসবে, তেমনটা হয় না। আমি সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত আছি।
বর্তমানে দুটি ছবির কাজের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। একটির ঘোষণা তো এলো, রাইসুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’। আরেকটি ছবিতে আমার শুটিং সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে নির্মাতা এখনো ঘোষণা দেননি। তাই আমিও এখন কিছু বলছি না। শিগগিরই হয়তো জানাবেন।
অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা বিদ্যানন্দ পথশিশু, অসহায় শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করে, এটা তো সবাই জানেন। তাঁরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। রমজান মাসে তাঁদের ওখানে শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেছি, একবেলা খেয়েছি। বাচ্চারা অনেক ভালোবাসা দিয়েছে, আমাকে গানও শুনিয়েছে। পুরো রমজানে আমার সেরা ইফতার হয়েছে ওদের সঙ্গে। এটা যেমন আনন্দের ছিল, আবার অনেক কিছু উপলব্ধিও করেছি। বিদ্যানন্দের শিশুরা আমার সঙ্গে ছবি আঁকতে চায়। এ জন্য ঈদের পর ওদের নিয়ে দুই-তিন দিনের ছবি আঁকার একটি সেশন করব। শিল্পের মাধ্যমে মানুষের জন্য কিছু করতে পারার চেয়ে সুন্দর তো কিছু নেই।
‘যাপিত জীবন’ ছবির কাজও সম্পন্ন হয়েছে, সিনেমার মুক্তি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। এটা তো ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। তাই সময় বুঝে মুক্তি দেওয়া দরকার। ঈদের সময় ভাষা আন্দোলনের ছবি কেউ দেখবে না, এটাই সত্য। সবাই একটু কমার্শিয়াল মসলা ছবি দেখতে চায়। আর একটা আনন্দের খবর হলো, কান উৎসবের জন্য ‘যাপিত জীবন’ জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নেপাল, ক্রোয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের আরো চারটি উৎসবে ছবিটি পাঠানো হয়েছে। এসব উৎসব থেকে ঘুরে আসার পর দেশে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। ভাষা আন্দোলন আমাদের অস্তিত্ব ও গৌরব। এ জন্য বিদেশিদের কাছে গল্পটা তুলে ধরতে চাই। আমাদের এই ঐতিহ্য তাঁদের জানাতে চাই যে বাঙালিরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments