Image description

এক সময় দিন কাটাতেন পার্লে-জি বিস্কুট আর ফলের চা খেয়ে। আর এখন তিনি থাকেন ৪৪ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাংলোতে। চরম দারিদ্র্য থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আজ তিনি বলিউডের সফল অভিনেতা।

তার খারাপ সময়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ টাকা। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি ছোট ঘরে থাকতেন এবং প্রতি মাসে ৭,০০০ টাকা ভাড়া দিতেন। জুটতো না ঠিকমতো খাবার।

ছোট শহরেই বড় হন, ছিল না কোনো ভালো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড। তবে অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রবল। দিল্লিতে থিয়েটার শেখার জন্য প্রতিদিন ৭০ কিমি সাইকেল চালাতেন। ২০১০ সালে রামগোপাল ভার্মার 'রণ' ছবিতে একজন সংবাদ পাঠকের ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু তার। বলা হচ্ছে অভিনেতা রাজকুমার রাওয়ের কথা।

রাজকুমার রাওয়ের বেড়ে ওঠা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাড়িতে ছিল আর্থিক টানাপোড়েন। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি কখনও নিজের স্বপ্ন ছাড়েননি। অভিনেতা হওয়ার আশায় চলে যান মুম্বাই। তবে সেখানেও পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে।

অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের একজন তিনি। শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে তিনি প্রতি ছবির জন্য প্রায় ৬ কোটি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।

স্কুলে পড়ার সময় থেকেই নাচ শেখাতেন অভিনেতা। এই নাচের শিক্ষক হয়েই জীবন প্রথম উপার্জন করেন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন বাচ্চা মেয়েদের নাচের টিউশন দিয়ে ৩০০ টাকা আয় করেন অভিনেতা।

‘রণ’ ছবিতে ছোট একটা চরিত্রে অভিনয় দিয়ে সেই শুরু। তারপর তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন ‘লাভ সেক্স অওর ধোকা’ ছবিতে। তারপর ‘শাহিদ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান রাজকুমার।