Image description

গুগল ম্যাপে ধরা পড়ল ‘রহস্যময়’ এক দরজা। অ্যান্টার্কটিকার বরফ ঢাকা প্রান্তরের মাঝখানে ছোট্ট একটি দরজা বা দরজা-সদৃশ বস্তু সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপর থেকেই দরজাটি নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কী এই দরজার উৎস, আর কীইবা আছে এর ভেতরে- এই নিয়ে একেক জনের মত একেক রকম। 

সম্প্রতি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া রেডিটে একজন ব্যবহারকারী ছবিটি পোস্ট করে। সাথে “অ্যান্টার্কটিকায় বিশাল দরজা?”- এই প্রশ্নটিও ছুঁড়ে দেয়। এরপর ভাইরালের এই যুগে যা হওয়ার তাই হয়েছে। নেটিজেনদের শেয়ারের কল্যাণে দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই ছবিটিকে ঘিরে তৈরি হয় নানা আলোচনা। নিজেদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দরজাটি সম্পর্কে নিজেদের মতামত শেয়ার করতে থাকে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা। 

কারো মতে অ্যান্টার্কটিকার ভূগর্ভস্থ একটি গোপন বাঙ্কারে ঢোকার মুখ বা পথ এই দরজাটি। কারো দাবী, এটি অজ্ঞাত কোন উড়ন্ত বস্তুর (ইউএফও) অবশিষ্ট। কেউ আবার বলছেন এটি একটি বিমানের ভাঙ্গা গেট। এরকমভাবে নেটিজেনরা নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে ব্যক্ত করেছেন নিজেদের মতামত।

মূলত বরফে আচ্ছাদিত প্রান্তরটির কিছু জায়গায় শিলা (রক) দেখা যায়। আর ভাইরাল হওয়া ছবিটির ঠিক মাঝখানে দরজা বা দরজার মতো দেখতে একটি কাঠামো দেখতে পাওয়া যায়- যেটি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মাঝে কৌতুহল জাগিয়ে তোলে।

রেডিটে শেয়ার ও ভাইরাল হওয়া ছবিটি কৌতুহলোদ্দীপক হলেও দরজা-সদৃশ কাঠামোটি আসলে কী তা জানলে অবশ্য আপনাকে নিরাশই হতে হবে। আমেরিকান ট্যাবলয়েড নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, এটি আসলে একটি হিমশৈলী বা আইসবার্গ!

ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসলের গ্লাসিওলজি’র অধ্যাপক বেথান ডেভিস নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন যে এটি আসলে আটকে পড়া একটি আইসবার্স যেটি ধীরে ধীরে গলছে। ঐ অঞ্চলে এই ধরণের আইসবার্গ আরও রয়েছে।

ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক গ্র্যানথাম ইন্সটিটিউটের সহ-পরিচালক অধ্যাপক মার্টিন সিগার্টও আইসবার্গের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সহজ করে বললে, বরফের হিমবাহ পাতলা হলে বরফ ও শিলার মধ্যে ঘর্ষণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে হিমবাহ প্রবাহের গতি ধীর হয়ে আসে। উপরন্তু, শিলার আকার হিমবাহ চলাচলের দিক ও গতিকে প্রভাবিত করতে পারে।