Image description

রবিবার (২৮ জুলাই) ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ২০১৩ সালে হুগো শ্যাভেজের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। রবিবারের নির্বাচনেও তিনি জিতবেন বলে আশা করছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। অবশ্য মাদুরোর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি, জনপ্রিয় প্রতিযোগীদের নিষিদ্ধ কিংবা সরাসরি ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে।

মাদুরোকে স্বৈরশাসক আখ্যায়িত করে দেশটিতে শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন বিরোধী দলের নবীনতম নেতা মারিয়া করিনা মাচাদো।

নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনেও মাদুরো স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব দেখা গেছে। শেষ দিনে তিনি শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোর একটিতে সমাবেশ করেছেন। তার সমাবেশের পুরোটাই সরাসরি সম্প্রচার করেছে রাষ্ট্রীয় টিভি। কিন্তু টিভিগুলো বিরোধীদের অনুষ্ঠানগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে। তারপরও এ নির্বাচনে মাদুরোর ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টিকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচনী পরীক্ষা ফেলে দিয়েছে।

সাবেক কূটনীতিক এডমুন্ডো গনজালেজ উরুতিয়া ও বিরোধী নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোর শেষ প্রচারণায় অনেক কম সমর্থকের উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রচারণার জন্য যথেষ্ট তহবিলের অভাব ছাড়াও তাদের সমর্থক ও স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর সরকারি দমনপীড়নের কারণও এর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। এমনকি তাদের মাইকের সাউন্ড সিস্টেমটিও এতোটাই দুর্বল যে, তার মধ্য দিয়ে নেতাদের কণ্ঠস্বর সব সমর্থকদের কাঠে পৌঁছায় না।

তবে আশার কথা হল-এবারে ভোটারদের মধ্যে বেশ অজনপ্রিয় মাদুরো। আর বিরোধী নেতা মারিয়া করি না মাচাদোকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বেশ কয়েকটি প্রধান বিরোধী দল একক প্রার্থী হিসেবে গনজালেজকে সমর্থন দিচ্ছে।

বিশ্বের বৃহত্তম তেলের মজুদ থাকা সত্ত্বেও ভেনেজুয়েলা অত্যন্ত দরিদ্র একটি দেশ। মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশিই দরিদ্র। ফলে নানা কারণে দেশটির প্রায় প্রায় আট লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি