ইসরায়েলের শহর হাইফাতে এবং ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শামোনা শহরে অবৈধ বসতি ও অন্যান্য অবস্থান লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট নিক্ষেপ করেছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে এই হামলার তথ্য দিয়েছে দেশটির পুলিশ সংস্থা। এই হামলায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ১০ জন আহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, হাইফার দক্ষিণে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ‘ফাদি ওয়ান’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে দুটি আর ৬৫ কিলোমিটার দূরে টাইবেরিয়াসে পাঁচটি রকেট আঘাত হেনেছে। হামলায় কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আহত কয়েকজনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সারভেইল্যান্স ক্যামেরায় হাইফাতে হিজবুল্লাহর রকেট আঘাত হানার মুহূর্ত রেকর্ড করা হয়েছে। হামলার স্থান ও কাল যাচাই করতে সমর্থ হয়েছে রয়টার্স।

ইসরায়েলি গণম্যাধমের খবর অনুসারে, লেবানন থেকে কিরিয়াত শামোনায় অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয় যার ফলে এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে আগুন ধরে যায়। রকেট হামলার ফলে সাইরেন বাজানো হয় যা দখলদারদের বিভিন্ন অবস্থান এবং বসতি থেকে শোনা যায়।

টেলিভিশন চ্যানেল কেএএন জানিয়েছে, রবিবার সকাল হতে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩৫টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়। হিজবুল্লাহ আল-মানারা শহরে দখলদার বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে একটি ভারী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় এবং তাতে কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দফতরের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। দক্ষিণ লেবানন ও বেকা অঞ্চলেও সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অস্ত্রশস্ত্রের মজুদ, অবকাঠামো, কমান্ড সেন্টারে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

বেসামরিক জনগণের ক্ষয়ক্ষতির জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। সেনাবাহিনীর দাবি, আবাসিক এলাকায় কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রাগার স্থাপন করে জনগণকে ঝুঁকির মুখে ফেলার দায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির।