Image description

দক্ষিণ লেবাননের প্রধান নাবাতিয়েহ শহরের পৌর সদরদপ্তর ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় স্থানীয় মেয়র এবং আরও অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাবাতিয়েহ শহরে বুধবার সকালে ৬ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে এবং ৪৩ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।

ইসরায়েলের এই হামলার পর লেবাননের সরকারি ভবন এবং কর্মকর্তারাও হামলার শিকার হতে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে। এতদিন সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়নি। কিন্তু হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েল বিমান হামলা বাড়াতে থাকায় এখন এসব প্রতিষ্ঠানও নিশানা হতে পারে।

নাবাতিয়েহ শহরের গভর্নর হোয়াইদা তুর্ক বিবিসি-কে বলেছেন, পৌর ভবনটিতে সেখানকার স্থানীয় মানুষদের জন্য ত্রাণ সমন্বয়কারী ক্রাইসিস টিমের বৈঠক চলাকালে ইসরায়েলের বিমান হামলা হয়। এতে শহরের মেয়র এবং পৌরসভা পাঁচজন স্টাফ নিহত হয়।

তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভবনের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে অনুসন্ধান এখনও চলছে।

লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি প্রাদেশিক রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে পৌরসভা কাউন্সিলের বৈঠককে হামলার নিশানা করেছে। যে বৈঠকে শহরের পরিষেবা এবং ত্রাণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছিল।”

লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল দুই সপ্তাহ আগে সামরিক অভিযান শুরু করার পর সরকারি ভবনে এটিই তাদের সবচেয়ে গুরুতর হামলা।

নাবাতিয়েহ শহরের মেয়র আহমেদ কাহিল এবং অন্যান্য পৌর কর্মীরা লোকজনকে সহায়তা করার জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যাননি। তবে ইসরায়েলের ভারি বিমান হামলার হামলার মুখে ওই এলাকার বেশির ভাগ মানুষই অন্যখানে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন নাবাতিয়েহ এর গভর্নর।

তিনি বলেন, “এটি গোটা লেবাননেই বিমান হামলা চলার মতো ব্যাপার। তারা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করছে রেডক্রস, নাগরিক প্রতিরক্ষার ওপর হামলা করছে। আর এখন তারা সরকারি ভবনগুলোকে হামলার নিশানা করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা হত্যাযজ্ঞ।”

এর আগে নাবাতিয়েহ শহরে হামলায় ১৯১০ সালের অটোমন-আমলের মার্কেটসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন ভবন ধ্বংস হয়েছে।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস