ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব দীপাবলীতে পার্টির আয়োজন করেছিলেন। তবে ধর্মীয় ওই পার্টিতে দেওয়া হয়েছিল মাংস ও মদ। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ব্রিটিশ হিন্দুরা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পার্টিতে কমিউনিটির নেতারা ছাড়াও অন্যান্য রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সেখানে প্রদীপ প্রজ্বলন, কুচিপুদি নাচেরও আয়োজন করা হয়েছিল।
পার্টিতে যাওয়া কিছু ব্রিটিশ হিন্দু যখন দেখতে পান ডিনার মেন্যুতে মদ, আমিষের ডিস রয়েছে তখন তারা বেশ অবাক হন। পার্টিতে উপস্থিত অতিথিদের ভেড়ার মাংসের কাবাব, মদ এবং ওয়াইন খেতে দেওয়া হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন দীপাবলীর অনুষ্ঠানে মদ এবং আমিষ জাতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়নি। প্রখ্যাত ব্রিটিশ হিন্দু পন্ডিত সতিষ কে শর্মা অভিযোগ করেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তাদের সঙ্গে ন্যুনতম আলোচনাও করেনি।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, “গত ১৪ বছরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে হওয়া দীপাবলীর অনুষ্ঠানে কোনো মাংস এবং মদ দেওয়া হয়নি। আমি হতাশ এবং অনেকটা অবাক হয়েছি। এ বছরের আয়োজন দেখে মনে হয়েছে এটি মদ ও মাংসের অনুষ্ঠান ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের এতটা খামখেয়ালি হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।”
এই হিন্দু পন্ডিত বলেছেন, যদি ভুলক্রমে এটি হয়ে থাকে তবুও বিষয়টি হতাশাজনক। কিন্তু যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এ রকমটি করা হয়ে থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত।
ব্রিটিশ হিন্দু ও ভারতীয়দের সামাজিক অধিকারবিষয়ক সংস্থা ‘ইনসাইড ইউকে’ বলেছে, একটি পবিত্র অনুষ্ঠান মাংস ও মদে ঠাসা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের স্টাফদের ধর্মীয় অনুভূতি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি।
Comments