ধর্ষণের অভিযোগে নরওয়ের যুবরাজ্ঞী মেটে-ম্যারিটের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পুলিশের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর, তার আগে ৪ আগস্টও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী হোইবি। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন নারীকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
২০০১ সালে বিয়ে হয় যুবরাজ্ঞী (ক্রাউন প্রিন্সেস) মেটে-ম্যারিট ও যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) হোক্কনের। তবে হোইবির জন্ম ম্যারিটের বিয়ের আগেই ১৯৯৭ সালে। ম্যারিট ও হোক্কন দম্পতির রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। তবে দুই ভাই-বোনের আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব থাকলেও হোইবির সেই রকম কোনো দায়িত্ব নেই।
প্রতিবেদন বলছে, হোইবিকে অপরাধমূলক কোড লঙ্ঘনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এমন কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন, যিনি অচেতন বা বিষয়টি প্রতিরোধের অবস্থায় ছিলেন না।
পুলিশ উল্লেখ করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে সহবাস ছাড়াই যৌনক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সকালে তাঁকে একটি আটক কেন্দ্রে রাখা হয়। তাঁর আইনজীবী নরওয়েজিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টার এনআরকে বলেছেন, মারিয়াস বোর্গ হোইবি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোইবির বিরুদ্ধে চারজন নারী ও একজন পুরুষকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তার ২০ বছর বয়সী একজনকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
Comments