ইউক্রেনের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটির বিশাল এই ঋণ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে ১৭৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্যাকেজ অনুমোদন করে।
গত এপ্রিল মাসে সর্বশেষ যে প্যাকেজটি অনুমোদিত হয়েছিল, সেখানে কিয়েভের বাজেটের ঘাটতি পূরণ করতে ৯.৪ বিলিয়ন ডলার ‘ঋণ মওকুফযোগ্য’ সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বুধবার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, বাইডেন কিয়েভের প্রায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফ করতে চান, আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যাতে ওই ঋণ মওকুফ করা যায়।
এই ঋণ মওকুফ বিষয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন দিলে আমি ইউক্রেনকে ঋণ দিতে সম্মত, তবে করদাতাদের অর্থ শুধুমাত্র উপহার হিসেবে দিতে রাজি নই। সেনেটর রান্ড পল বাইডেনের ঋণ মওকুফের বিরোধিতা করেছেন এবং বলছেন এটি আমেরিকান করদাতাদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ২০২৫ সালের বাজেটে ৭৫ শতাংশ ঘাটতির পূর্বাভাস দিয়েছেন। জেলনস্কি সরকারের ঋণ ১৫২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বছরে ঋণের কিস্তি বাবদ দেশটির খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ৫.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
গত অক্টোবর মাসে, জি-৭ রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের জন্য আলাদা করে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে, যা পশ্চিমাদেশগুলোর হাতে জব্দ প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের রুশ সম্পদ থেকে দেওয়া হবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে যাতে সম্পত্তিগুলো সম্পূর্ণভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এখনও এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। কারণ এমনটি করা হলে পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থায় অন্যান্য দেশের আস্থা নষ্ট করতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
Comments