ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নেদারল্যান্ডসে গেলেই গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এই ঘোষণা দিল নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ।
নেতানিয়াহুর গ্রেফতার সম্পর্কে বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প বলেন, “সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা আইসিসিকে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর। আমরা রোম সংবিধি ১০০ ভাগ মেনে চলি।”
এদিকে, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ লেমোইন বলেছেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরকে সমর্থন করেন।
তবে ফরাসি মাটিতে পা রাখলে ফ্রান্স নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করবে কি না সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
প্যারিসে তিনি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “আজ, দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা ২০০০ সালে আইসিসি সংবিধি অনুমোদন করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে আদালতের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া এই নীতিগুলোর সাথে এক কাতারেই থাকবে।”
লেমোইন আরও বলেন, “এই ওয়ারেন্টগুলো একটি জটিল আইনি সমস্যা। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যার জন্য অনেক আইনি সতর্কতা প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও দণ্ডিত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নিজস্ব কোনও সক্ষমতা আইসিসির নেই। ফলে এই আদালত সদস্য দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্বের ১২৪টি দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাহলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব— তাদের দেশে যাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতের হাতে তুলে দেওয়া। তবে তারা আদালতের এই রায় কার্যকর করবে নাকি করবে না সেটি নিজস্ব ব্যাপার। সূত্র: আল-আহরাম, ডাচ নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি
Comments