Image description

লস অ্যাঞ্জেলেসে জ্বলতে থাকা ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ১ লাখেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছেন। বুধবার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বড় শহরটিতে দ্রুতগতিতে দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশ করেছে এএফপি।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি মেরন বলেছেন, দাবানলের গতির সঙ্গে লড়াই করতে তাঁর কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু না, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সব বিভাগ মিলেও আমাদের যথেষ্ট অগ্নিনির্বাপণকর্মী নেই যে এই দাবানল সামাল দেওয়া যাবে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা বলেছেন, পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেখুন, পরিস্থিতি এখনো দ্রুত বদলাচ্ছে। এই দাবানলের ওপর এখন পর্যন্ত আমাদের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি সত্যি প্রার্থনা করছি যে আমাদের যেন আর শুনতে না হয়। তবে আমার মনে হয় না এ ক্ষেত্রে এমন কিছু হতে চলেছে।’

নগরের উত্তরের আলতাদেনা এলাকার চারপাশে অন্য একটি দাবানলে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ একর জমি পুড়ে গেছে। সেখানে শহরতলির সড়কগুলোয়ও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।

এই অঞ্চলে বাতাসের গতি হারিকেনের মতো। লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক পালিসাদেস। তীব্র গতির বাতাসের কারণে প্যাসিফিক পালিসাদেস এলাকায় আগুনের গোলা এক বাড়ি থেকে লাফিয়ে অন্য বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে।

দাবানলে গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল পর্যন্ত প্যাসিফিক পালিসাদেস এলাকার প্রায় ১৬ হাজার একর ভূমি পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে প্রায় এক হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

যুক্তরাষ্ট্র সময় গত মঙ্গলবার সকালে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে একাধিক স্থান থেকে শুরু হয় ভয়াবহ এই দাবানল। এরপর তা দ্রুত অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেন। দাবানল সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে প্যাসিফিক পালিসাদেস ও আলতাদেনা এলাকায়।

মানবকণ্ঠ/আরআই