ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে পুলিশ অফিসারদের সামনেই নিজের ২০ বছরের মেয়েকে গুলি করে হত্যা করল এক বাবা। জানা গেছে, পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়ের মাত্র চার দিন আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তাকে হত্যা করা হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মেয়ে তনু গুর্জর অমতে তার পরিবার বিয়ের আয়োজন করেছিল। তনু সেই বিয়ের বিরোধিতা এবং নিজের পছন্দের একজনকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পুলিশ সূত্রের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, তনু গুর্জর মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেছিলেন। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ভিকিকেই বিয়ে করতে চাই। আমার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও এখন অস্বীকার করছে। তারা আমাকে প্রতি দিন মারধর করেন। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। আমার কিছু হয়ে গেলে সে জন্য দায়ী থাকবে আমার পরিবার।’
ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বাবা মহেশ গুর্জর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের পোস্ট করা ভিডিও দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করেন। তনুর এক ভাই রাহুলও অতিরিক্ত গুলি চালায় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ভিকাম 'ভিকি' মাওয়াই নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে ছয় বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তানুর।
তনুর ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তনুর বাড়িতে ছুটে যায়। একটি কমিউনিটি পঞ্চায়েত সভা বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সামনে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এ সময় তনুর বাবা তার সাথে একান্তে কথা বলার অনুরোধ করেন।
পরে মেয়েকে ভেতরের একটি ঘরে নিয়ে যান বাবা মহেশ গুর্জর। সঙ্গে যান ভাই রাহুল। এর পর পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতেই মেয়েকে গুলি করেন তারা। তনুর বুকে, কপালে ও ঘাড়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
এরপর পিস্তল নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন মহেশ ও রাহুল। মহেশকে গ্রেপ্তার করা হলেও রাহুল পালিয়ে যান। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments