কলেজের ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে অধ্যাপকের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে, মালা বদল করে প্রথম বর্ষের ছাত্র বিয়ে করছেন এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে । গত ১৬ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়ার হরিণঘাটায় অবস্থিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (ম্যাকাউট) অধিভুক্ত হরিণঘাটা কলেজে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কলেজটি কলকাতা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হরিণঘাটা কলেজের সাইকোলজি বিভাগের প্রধান পায়েল ব্যানার্জিকে কনের সাজে দেখা যাচ্ছে। তার পরনে ঝলমলে শাড়ি, হাতে শাঁখা, কপালে টিকলি, পান পাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে তিনি। আর ছাত্রের পরনে জিনস, হুডি। তবে তারও গলায় রজনীগন্ধার মালা।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ওই ছাত্র অধ্যাপককে সিঁদুর পরিয়ে দেন, হাঁটু মুড়ে বসে এগিয়ে দেন গোলাপও। ক্লাসরুমের ভেতরে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়।
ম্যাকাউটের উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘যে ছবি দেখলাম তাতে তো মনে হচ্ছে, সবই হয়েছে দিনের আলোয়, অন্যান্য ছাত্র ও ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সামনে। তা হলে তখন কারও মনে হল না এতে অস্বস্তিকর কিছু আছে? বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। আর উনি হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট। ছেলেটি প্রথম বর্ষের।’
অভিযুক্ত অধ্যাপক পায়েল ব্যানার্জি জানান, ‘ফ্রেশার্স’ অনুষ্ঠানের জন্য একটি নাটকের পরিকল্পনা করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বিয়ের দৃশ্যটি ওই নাটকেরই অংশ।
তিনি বলেন, ‘ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে এক সহকর্মী অধ্যাপক রয়েছে। উনি অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধান হতে চাইছেন। তাই সরাতে চাইছেন আমাকে। মানুষ যে কী পর্যায়ে নামতে পারে, তা কল্পনারও বাইরে। বিভাগীয় প্রধান হওয়ার লোভে কেউ এতটা নীচে নামতে পারে, ভাবতে পারছি না।’
Comments