Image description

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। উপত্যকায় দেশটির হামলায় তিনিসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আইডিএফ ঘোষণা করেছে যে তারা আজ হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার কার্যত প্রধানমন্ত্রী এবং হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।

হামাসের পক্ষ থেকেও তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- গাজার প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য সরকারি কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান ইশাম দা-আলিস, হামাসের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, গাজায় হামাসের পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিসেবায় নিয়োজিত হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, তারা আজ ভোর থেকে গাজা উপত্যকার কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে হামাসের ওই চার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। হামলায় মধ্য-স্তরের হামাস কমান্ডার, গোষ্ঠীটির পলিটব্যুরোর সদস্য এবং এর অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে। ইসলামিক জিহাদের সদস্য এবং অবকাঠামোকেও এ হামলায় নিশানা করা হয়েছে।

আইডিএফ বলছে, এই হামলার লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতাকে আঘাত করা এবং ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের জন্য হুমকি দূর করা।

এরআগে গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হত্যা করে দখলদাররা। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হন ইশাম দা-লিস।

দখলদার ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি তাদের জিম্মিদের হামাস ছেড়ে না দেয় তাহলে গাজায় এ ধরনের হামলা আরও অব্যাহত রাখা হবে। সোমবার রাতে ঘুমন্ত এসব মানুষের ওপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে। 

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

মানবকণ্ঠ/আরআই