
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলায় আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।অন্যদিকে লেবাননের ছোড়া রকেট হামলার জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন।এই নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার ৭৫০ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার গাজার বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, সন্তানসহ মোট পাঁচজন সদস্য নিহত হন।
একই দিন দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের কাছে হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা।
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার জেরে তীব্র সংকটে ভুগছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালগুলো। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী ও শয্যার অভাবে প্রায় অকেজো উপত্যকাটির চিকিৎসাব্যবস্থা। মেমাদানি হাসপাতাল, যা গাজার অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র, বর্তমানে আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে অনেক রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটি লক্ষ্য করে শনিবার সকালে ছয়টি রকেট ছোড়া হয়। এর মধ্যে তিনটি সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। এসব রকেট হামলা প্রতিহত করে ইসরায়েলি বাহিনী।
রকেট হামলার জবাবে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
তেল আবিবের বিমানবাহিনীর দাবি, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারে আক্রমণ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, লেবানন সরকারকে প্রতিটি রকেট হামলার জবাব দেয়া হবে। এছাড়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, হামাসের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করতেই গাজাজুড়ে নতুন সামরিক হামলা শুরু করা হয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে কোনো হামলা চালায়নি। এসব হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যুদ্ধবিরতিও মেনে চলছে তারা। যদিও শনিবার ইসরায়েলের রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সশস্ত্রগোষ্ঠী বা সংগঠন।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments