
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর বাইরে যে পরিমাণ আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ছাড়াতে পারে ১ হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। শুক্রবার মধ্যরাতে নিজেদের ওয়েব সাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউএসজিএস।
শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে
গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও কম্পন হয়েছে। এই ৬ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন।
এদিকে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৭৩২ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে রাজধানী নেইপিদোয়ে ৯৬ জন, সাগাইংয়ে ১৮ জন ও মান্দালয়ে ৩০ জন রয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
Comments