বিমসটেকে ড. ইউনূসের সঙ্গে জান্তা প্রধানের বৈঠকের চেষ্টা চালাচ্ছে মিয়ানমার

বিমসটেক সম্মেলনে জান্তা প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনটি সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় সূত্রগুলো নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তবে তিনটি সূত্রই রয়টার্সকে বলেছে, আগামী ৩–৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠাতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন মিন অং হ্লাইং। সেখানে তিনি কয়েকটি দেশের নেতার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ওই সময়ে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে নেপিদো।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিমসটেক সম্মেলনে জান্তা প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
ভারত সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, জান্তা প্রধানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের জন্য মিয়ানমারের কর্মকর্তারা দিল্লির কাছে ‘প্রস্তাব’ পাঠিয়েছে। তবে ভারত এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে তারা ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পায়নি। অন্যদিকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনিও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে জান্তা প্রধান উপস্থিত থাকবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর সকল নেতা তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
নোবেলজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। এরপর এবারই প্রথম দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশে তিনি সফরে যাচ্ছেন।
বিমসটেক হচ্ছে বঙ্গোপসাগরীয় বহুমুখী কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ। এর সদস্য দেশগুলো হলো—থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান।
Comments