Image description

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে, ‘চিন ম্যানড স্পেস এজেন্সি’ এবং পাকিস্তানের ‘মহাকাশ ও উচ্চ পরিবেশ গবেষণা কমিশন’-এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীনের মহাকাশ স্টেশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রথম বিদেশি দেশ হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। স্থানীয় সময় শুক্রবার পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশনের (সুপারকো) পরিচালক শাফাত আলী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। খবর ডন।

শাফাত আলী জানান, পাকিস্তান চীনে প্রশিক্ষণের জন্য দুটি যোগ্যতার ভিত্তিতে দুজন মহাকাশচারী পাঠাবে। তিনি এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, বেইজিংয়ের মহাকাশ স্টেশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রথম বিদেশি দেশ হিসেবে পাকিস্তান নির্বাচিত হয়েছে।

এছাড়া, তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে পাকিস্তান চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে, যার আওতায় পিএইচডিধারী, অভিজ্ঞ পাইলট এবং শারীরিকভাবে সক্ষম প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত মহাকাশচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।

শাফাত আলী আরও বলেন, চীন মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ শুরুতে শুধু তার নাগরিকদের জন্য সীমাবদ্ধ রেখেছিল, কিন্তু এখন এই সুযোগটি পাকিস্তানের জন্যও উন্মুক্ত হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন তৈরি করেছে।

তিনি পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, প্রার্থীদের একাডেমিক সাফল্য, দক্ষতা এবং শারীরিক মানের ভিত্তিতে বাছাই করা হচ্ছে।

সুপারকো পরিচালক জানান, মহাকাশচারী নির্বাচন প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এটি শেষ হবে। তিনি বলেন, এই মিশনটি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে যেমন জৈবিক ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, মহাকাশ, ফলিত পদার্থবিদ্যা, তরল মেকানিক্স, স্পেস রেডিয়েশন, ইকোলজি, উপাদান বিজ্ঞান, মাইক্রোগ্রাভিটি স্টাডিজ এবং জ্যোতির্বিদ্যায় অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পরিচালনা করবে।

এদিকে, শাফাত আলী প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং চীন সরকারকে এই অসাধারণ সুযোগটি পাকিস্তানের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তান এখন মহাকাশ অনুসন্ধানে একটি বড় ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরও গভীর সম্পর্ক স্থাপন হবে, যা ভবিষ্যতে উভয় দেশের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে নতুন সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে।