Image description

মৌসুমের শেষ দিকে সরবরাহ সংকটে যখন পেঁয়াজের বাজার অস্থির, ঠিক তখনই ভারত থেকে আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে এক রাতের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে আসবে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রভাব এরই মধ্যে বাজারে পড়তে শুরু করেছে। শনিবার যে দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ তা কমে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১১০ টাকার নতুন পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। হঠাৎ দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও সাধারণ ক্রেতারা।

বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো থাকায় এতদিন দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে মৌসুম শেষ হওয়ায় সম্প্রতি সরবরাহ কমে বাজার লাগামহীন হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ থেকে ইমপোর্টার পারমিট বা আইপি-এর জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৫০ জন আমদানিকারককে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক ৩০ টন করে আমদানির সুযোগ পাবেন।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হলে দেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে আসতে পারে। তবে তাদের দাবি, আমদানির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোটা না রেখে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের উন্মুক্ত সুযোগ দেওয়া হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা আরও সহজ হবে এবং সাধারণ ক্রেতারা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

উল্লেখ্য, দেশি কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর থেকে আমদানি বন্ধ ছিল।