Image description

যশোর মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে জাকির হোসেন (২৬) নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে বেদম পিটিয়ে দুই পা ও এক হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলেজের হোস্টেলে মাদক সেবন করার প্রতিবাদ করায় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা তার রুমের দরজা আটকে দুই ঘণ্টা ধরে শারীরিক নির্যাতন এবং হকিস্টিক দিয়ে বেদম প্রহার করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাকির হোসেন যশোর মেডিকেল কলেজের (জেএমসি) এমবিবিএস কোর্স চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র। জানুয়ারিতে তার ইন্টার্ন কোর্স শেষ হয়েছে। তিনি জানান, গত ৩১ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে কলেজের হোস্টেলে তার ৫ নং রুমে রাতের খাবার তৈরি করছিলেন। এ সময় পাশের ৪ নং রুমের ছাত্র মেহেদী হাসান লিওনের রুম থেকে লিওন, আবদুর রহমান আকাশ, শামীম হোসেন, সাকিব আহমেদ তামিমসহ ৭-৮ জন ছাত্র তার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে হকিস্টিকসহ অন্যান্য লাঠিসোটা দিয়ে বেদম প্রহার করে। রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শারীরিকভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালানোর পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
ওয়ার্ডে কর্তব্যরত শৈল্য চিকিৎসক নাজিবুর রহমান জানান, জাকির হোসেনের দুই পা ও বাম হাতের কব্জির এবং পাতার হাড় ভেঙে গেছে। বাম পাঁজর ফেকচার হয়ে গেছে। তাকে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।
জাকির হোসেন জানিয়েছেন, তিনি মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু কমিটি এখনও তৈরি হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির শাহাজাদ জাহান দিহান সভাপতি এবং শাহাদত হোসেন রাসেল সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রয়েছেন। এমপি কাজী নাবিল আহমেদ গ্রুপের পক্ষে ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী হওয়ায় অনেকের ক্ষোভ থাকতে পারে। মোটরসাইকেল ছিনতাই করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তা ছাড়া ৪ নং রুম হচ্ছে গাঁজা ও মাদক সেবনের আড্ডা। তার পাশের রুম হওয়ায় তিনি অস্বস্তি বোধ করেন এবং গাঁজা ও মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার বিন্দুমাত্র দোষ ছিল না বলে চিকিৎসক জাকির হোসেন জানিয়েছেন।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।