Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক ও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহর নামে মামলা রয়েছে। অভিযোগ আছে— অনেকটা জবর-দখল করে বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান হন আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাকালীন বোর্ড কব্জায় নিয়ে নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়েছেন নতুন ট্রাস্টি বোর্ড।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন কয়েকজন ট্রাস্টি জানান, এক যুগেরও বেশি সময় আগে বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলের পথ সুগম করে দিয়েছিলেন শিক্ষালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তাদের একজন অধ্যাপক ড. শামসুল হক। তিনিই মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার এক সময়কার ছাত্র ও পরবর্তীতে সহকর্মী অধ্যাপক ইউসুফ মো. আবদুল্লাহকে দিয়ে এ কাজটি করান। পরবর্তীতে ট্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসির দায়িত্ব পালন করা ড. শামসুল হকও বিশ্ববিদ্যালয়টির শীর্ষপদে বেশিদিন থাকতে পারেননি। ২০১২-২০১৩ সালের দিকে তাকেও নীতিনির্ধারণী সকল কাজ থেকে অব্যাহতি নিতে হয় তাকে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজে রাখা হয় নামমাত্র সদস্য করে।

বর্তমানে অধ্যাপক ইউসুফ মো. আবদুল্লাহর পরিবারের ‘দখলে থাকা’ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ফেরত চান প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তারা। এ নিয়ে তারা নিম্ন আদালতে মামলাও করেছেন। চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও রাষ্ট্রপতি বরাবর। এর বাইরেও শিগগিরই উচ্চ আদালতে গিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

আরেক উদ্যোক্তা ও ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু আহমেদ বলেন, অধ্যাপক ড. শামসুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ শিক্ষক ছিলেন। তার ছাত্র ও পরে সহকর্মী ইউসুফ মো. আবদুল্লাহকে এখানে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর আমাদের সবাইকে এক প্রকার জোর করে বের করে দেন। এর কয়েক বছর পর ড. শামসুল হককেও বের করে দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য, ২০১১ সালে অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ ট্রাস্টটি দখল করে নিজের পছন্দসই নয়জনকে মনোনয়ন দেন। পূর্ববর্তী বোর্ডের একজন সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল হককে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। এর বাইরে নতুন সদস্য হয়েছিলেন অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ। বর্তমানে তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।

এছাড়াও বোর্ডে তিনি রেখেছেন স্ত্রী হালিমা সুলতানা জিনিয়া, মা দোলেনা খানম, বাবা আনসার আলী, ছেলে সাদ-আল-জোবায়ের আব্দুল্লাহ, মেয়ে লাবিবা আব্দুল্লাহ, বোন মোসাম্মদ হাবিবুন নাহার এবং বোনের ছেলে নাজমুস সাদাতকে। এর মধ্যে বর্তমানে স্ত্রী হালিমা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়া বাকিরা বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস