বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে, তা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং সাধারণত সংক্রমণের ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ প্রকাশ পায়।
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো বেশ স্পষ্ট। এতে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী ও শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা এবং ত্বকে লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, সুস্থতার পথে খাবারের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন কোন খাবার আপনাকে মুক্তি দিতে পারে-
রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে যে সকল খাবার খাবেন-
ডেঙ্গুর কারণে শরীরে প্লালিটের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়, যা রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার প্লাটিলেটের মাত্রা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।
পেঁপে পাতা
পেঁপে পাতা পাপাইন ও কাইমোপাপেনের মতো এনজাইম সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে এবং প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ডালিম
ডালিম পুষ্টি ও খনিজ সমৃদ্ধ ফল। এটি শরীরের ক্লান্তিভাব কমায়। ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও ডালিম প্লাটিলেট কাউন্ট বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কিউই
নিউ জিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওটাগোর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কিউইতে থাকা ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম দ্রুত প্লাটিলেট পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখে।
পর্যাপ্ত হাইড্রেশন নিশ্চিত করতে যে সকল খাবার খাবেন-
ডেঙ্গু জ্বরের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে যায়। সঠিক হাইড্রেশন নিশ্চিত না করলে এই পরিস্থিতি আরো গুরুতর হতে পারে।
পানি
ডেঙ্গু হলে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। সে কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই এই জ্বরে আক্রান্ত হলে দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করতে হবে।
ডাবের পানি
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান৷
ভেষজ চা
আদা বা পুদিনা পাতার চা গলা ব্যথা কমায় এবং শরীরে আরাম দেয়।
ভেষজ যে সকল খাবার খাবেন-
হলুদ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে হলুদ একটি উপকারী খাদ্য উপকরণ। ১ গ্লাস দুধের সঙ্গে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে এটি দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
মেথি
মেথি সহজে ঘুমাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি অতিমাত্রার জ্বর কমিয়ে আনে, যা ডেঙ্গুর একটি সাধারণ লক্ষণ। তবে মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
নিমপাতা
ভাইরাসবিরোধী গুণাবলীর জন্য নিমপাতা ডেঙ্গু মোকাবিলায় উপকারী।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments