Image description

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

ত্রাণ উপদেষ্টা বলেছেন, ‌‘আমরা বন্যার স্থায়ী সমাধান চাই। শেরপুরে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য আমি সরেজমিনে এখানে এসেছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি করেছে। একইসঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কমিটি করা হয়েছে। কমিটিগুলোতে জনসাধারণ ও এনজিও এবং ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠানকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই মিলে এই পুনর্বাসনের উদ্যোগকে সফল করা হবে। আশা করছি যার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার নিরিখে আমাদের পুনর্বাসন কর্মসূচি সম্পন্ন করতে পারব। তার মধ্যে কিছু খুব শিগগিরই হবে। বাকিগুলো ধীরে ধীরে করা হবে।’

মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। আর এর ভোক্তভোগী হচ্ছে দেশের মানুষ। এখানে যে পরিকল্পিত টেকসই একটি বাঁধ নির্মাণের জন্য মানুষের জানমাল ডুবে শেষ হয়। ক্ষদ্র এই বাঁধটি এখনও নির্মাণ হয়নি। আর তারা বলে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। লুটপাটের কাছে এই বাঁধ নির্মাণের খরচ ক্ষুদ্র বালির সমান। এখানে কী সমস্যা আপনারাই ভালো জানেন। আপনাদের পরামর্শক্রমে জনগণের দুর্ভোগ লাগবে এই বাঁধের স্থায়ী সমাধান করা হবে।’

এদিন ত্রাণ উপদেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। পরে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৫০টি পরিবারের মাঝে দুই বান্ডিল করে টিন এবং ছয় হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।