Image description

মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পরপরই শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যা আরও ঘনীভূত হয়ে রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ে। আর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘দানা’।

এখন পর্যন্ত নিম্নচাপের গতিপথ ভারতের ওডিশার ভুবনেশ্বর, পশ্চিমবঙ্গ ও সুন্দরবনের পশ্চিমাংশের দিকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও স্পষ্ট হবে এর গতিপথ।

তিন দশক ধরেই অক্টোবরের শেষ দশ দিন ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। এই সময়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ১৬টি ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ২৪ অক্টোবর ভারত-বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা বেড়ে ঝড়ের প্রবণতা বাড়ছে।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়বিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘এই গভীর নিম্নচাপটি আরও যত বাংলাদেশের উপকূলে আসবে তখন এর গতিপথ সম্পর্কে আরও সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এর প্রভাবে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।’

২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয় সূর্যের দক্ষিণায়ন। এতে বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগে তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে চলে যায়। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বাড়তে থাকে। সেজন্য প্রতিবছর মাঝ অক্টোবরে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩০ বছরের তথ্য বলছে, বঙ্গোপসাগরে ১৮৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত অক্টোবরে ৯৪টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন দশকে ১৬টি ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশ উপকূলে হানা দেয়। এবছরও একই সময়ে আঘাত হানার অপেক্ষায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। 

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘অক্টোবর মাসের শেষ ১০ দিন সাধারণত ঘূর্ণিঝড়প্রবণ হয়ে থাকে।’

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কয়েক বছরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের প্রবণতা বেড়েছে।