রাজধানীর সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে নিখোঁজের একদিন পর যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের পাওয়া গেল গাড়িচালক সোহেল মিয়ার (৪৮) রক্তাক্ত মরদেহ। এ ঘটনার পর থেকে বাসাবো এলাকার গ্যারেজ মালিক রুবেল পলাতক রয়েছেন। পুলিশের ধারণা তাকে গ্যারেজে হত্যা করে হানিফ ফ্লাইওভারে ফেলে যায় হত্যাকারীরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোর ছয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের আত্মীয় হাবিবুর রহমান বলেন, সোহেল পেশায় গাড়ি চালক ও নিজেই মালিক। গতকাল সবুজবাগের উত্তর বাসাবো ঝিলপাড় গ্যারেজের গাড়ি মেরামত করার জন্য যান। গ্যারেজের মালিক রুবেল বলেন গাড়ির কাজের জন্য কিছু পার্টস আনতে হবে। এই বলে গাড়ির পার্টস আনার জন্য যায় সোহেল। পরে ফোন দিলে আর সোহেলকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে সোহেলের স্ত্রী শারমিন গ্যারেজে গিয়ে তার স্বামীর খোঁজ করলে রুবেল বলেন তাকে পার্টস আনতে দিয়েছি। তার স্ত্রী বারবার ফোন করলেও তাকে ফোনে পাননি। পরে সবুজবাগ থানায় একটা জিডি করেন। গ্যারেজে মালিক সুকৌশলে সোহেলকে হত্যা করেছেন। এখন তিনি পলাতক।
তিনি বলেন, নিহত সোহেলের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার খোকনকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম মোকলেসুর রহমান। বর্তমানে তিনি সবুজবাগের বাসাবো কদমতলা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমির হোসেন বলেন, হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার লোকজন আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে পরে ধোলাইপাড় ফ্লাইওভারের উপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিহত সোহেল পেশায় প্রাইভেটকার চালক ছিলেন। গতকাল উত্তর বাসাবো এলাকায় একটি গ্যারেজে গাড়ি কাজের জন্য যান তারপর আর বাসায় ফিরে আসেনি। তার মাথার বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভারী কোনো বস্তু ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরে আমরা সবুজবাগ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায় সেখানে একটি জিডি হয়েছে পরে আমরা বিষয়টি সবুজবাগ থানাকে জানাই। বর্তমানে বিষয়টি তারাই তদন্ত করছে।
সবুজবাগ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন আলী বলেন, গতকাল নিহত সোহেলের স্ত্রী শারমিন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সকালে জানতে পারি হানিফ ফ্লাইওভার থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে আমাদের অফিসার এবং তার স্ত্রী ঢাকা মেডিকেলে মর্গে গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মাণববকন্ঠ/আরআই
Comments