রোববার শপথ নেবে ৫ সদস্যের নবগঠিত নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে নির্বাচনী ট্রেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দীর্ঘদিন ধরে ভুলুণ্ঠিত ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমলা নির্ভর নাসির কমিশনকে প্রমাণ দিতে হবে নিরপেক্ষতার।
শুরুটা রকিবুদ্দিনের হাত ধরে। এরপর নুরুল হুদা হয়ে দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংসের শেষ পেরেকটা যেনো ঠোকে হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ওলোটপালোট হয়ে যায় আগের সব হিসাব। এক মাসের মাথায়ই পদত্যাগ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি।
এরপর থেকেই নতুন নির্বাচন কমিশনের খোজে বাংলাদেশ। সেই অপেক্ষার পালা শেষ হলো বৃহস্পতিবার। সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে, ৫ সদস্যের ইসিতে যথারীতি আগের মতোই নির্ভরতা আমলাদের ওপর। যেখানে রয়েছেন, তিনজন সচিব, একজন বিচারক ও আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা।
অতীতের মতোই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় স্বচ্ছ নির্বাচনের অঙ্গীকার করলেন নতুন সিইসি।
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটারকে নির্বিঘ্নে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দান করার ব্যবস্থা করা সেটা আমরা করতে চাই।
তবে আমলা নির্ভর নতুন কমিশন কতটুকু স্বচ্ছতা রাখতে পারবে! এমন প্রশ্নে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের সাবধানী মন্তব্য।
রাজনৈতিক বিশ্লষক রাশেদা রওনক খান বলেন, যতটা না রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রীক প্রক্রিয়া, তারচেয়েও বেশি রয়েছে ইসি ও তার টিমটি কতটা ব্যক্তি এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত হয় যে তারা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা তৈরি করতে তারা সচেষ্ট থাকবেন।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ইসি সংস্কারের পর সবার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই মূলত নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে নতুন কমিশনকে।
রাশেদা রওনক খান আরও বলেন, সংস্কারের জায়গাটায় সকল দলের যেন মতামত স্থান পায়, সকলের দলকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এটা আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা।
নতুন নির্বাচন কমিশনকে আগামী রোববার শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments