Image description

অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন চান দেশের ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলেও মনে করেন দেশের ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকার করা এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে ।

গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভুত্থানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ অগাস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, এ নিয়ে কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা, এ বিষয়ে ১৩ অক্টোবরের থেকে ২৭ অক্টোবর ভয়েস অব আমেরিকা দেশব্যাপী একটি জরিপ করে।

জরিপটি ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এডিটোরিয়াল নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালনা করে গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড। ভয়েস অব আমেরিকার ঠিক করে দেওয়া সুনির্দিষ্ট (ক্লোজ অ্যান্ড) প্রশ্নমালার ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউইংয়ের মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগে ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সি এক হাজার মানুষের মধ্যে জরিপটি পরিচালিত হয়।

জরিপ থেকে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন চান দেশের ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলেও মনে করেন দেশের ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। আর শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে দেশের ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।

প্রতিবেদনে  আরও দেখা যায়, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন চান দেশের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। আর ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ নাগরিক। সবচেয়ে কম ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জনগণ চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া শহরের জনগণের ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং গ্রামে বাস করেন তাদের ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ আগামী এক বছরের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন চান। আর জরিপে অংশগ্রণকারী পুরুষদের ৫৭ দশমিক ৩ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ নির্বাচন চান এক বছরের মধ্যে।

মানবকণ্ঠ/এসআর