গ্রামীণ টেলিকম ভবন দখলের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহ আলী থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন–উপ-মহাব্যবস্থাপক আবদুল কুদ্দুস, সহকারি মহাব্যবস্থাপক ফয়জুল হক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মামুনুর রশীদ ও কৃষ্ণ কান্ত রায়, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. প্রদীপ কুমার সাহা, গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হারুন আর রশিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, মো. গোলাম জাকারিয়া, প্রিন্সিপাল অফিসার গোবিন্দ সাহা, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের উপদেষ্টা এস, আব্দুর রশিদ, মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পরামর্শক ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার, কনসালটেন্ট জীম জোবায়েদ, লে. কর্ণেল (অব.) জাহাংগীর হাসান, কর্ণেল (অব.) রাশেদ আলী, সার্জেন্ট (অব.) জিয়াউর রহমান ও নুরুজ্জামান মৃধা, এরএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও গণসংযোগ কর্মকর্তা তানন খান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংকের মিরপুর-২ হেড অফিস থেকে আগত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ এই ১৯ আসামি মিরপুর-১ চিড়িয়াখানা রোডে গ্রামীণ টেলিকম অফিসে প্রবেশ করে। কোম্পানির মানহানি ও সংরক্ষিত মূল্যবান নথিপত্র ও আসবাবপত্রের ক্ষতিসাধণ করে।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর গ্রামীণ টেলিকম ভবন দখলের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী। আদালত শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মানবকণ্ঠ/আরইচটি
Comments