Image description

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় এবং নয়াদিল্লি আশা করে ঢাকা নিজ স্বার্থেই তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেবে। শুক্রবার ভারতের লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

জয়শঙ্কর বলেন, ভারত আশা করে বাংলাদেশের নতুন সরকার পারস্পরিক লাভের একটা স্থিতিশীল সম্পর্কের দিকে যাবে। আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সম্প্রতি, পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করেছেন। সফরকালে বৈঠকগুলোতে বিষয়টি উঠে এসেছে। আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ তার নিজ স্বার্থে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেবে।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ তাদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের একটি ভালো অতীত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যখন আমরা ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির কথা বলি, তখন পাকিস্তান ও চীন বাদে প্রায় প্রতিটি প্রতিবেশী দেশেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই।

এ সময় জয়শঙ্কর ভারত-চীন বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি না থাকলে ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। শান্তি পুনরুদ্ধারই হবে এই সম্পর্কের অগ্রগতির ভিত্তি। সামরিক স্তরগুলি এলএসি বরাবর চ্যালেঞ্জগুলি পরিচালনা করতে এবং একটি স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ডেপসাং-এর সমস্ত টহল পয়েন্টে যাবে এবং পূর্ব দিকের সীমান্তে যাবে যা ঐতিহাসিকভাবে আমাদের টহল সীমা ছিল।

জয়শঙ্কর লোকসভাকেও জানিয়েছিলেন যে ভারত অন্য যে কোনো প্রতিবেশীর মতো পাকিস্তানের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে চায়, তার আগে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। জয়শঙ্কর বলেন, আমরা এটা খুব স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যে অতীতের আচরণ পরিবর্তন না করলে তার প্রভাব ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কর ওপর পড়বে । সুতরাং, আমি মনে করি এই বিষয়ে বলটি পাকিস্তানের কোর্টে অনেক বেশি। পাকিস্তানের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে,পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি ২০১৯ সালে পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে কিছু ব্যাঘাত ঘটেছিল।

মিয়ানমার থেকে ভারতে মাদক ঢোকা বন্ধ করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও ভারত সরকারের কাছে জানতে চান সাংসদ ওয়াইসি। এর জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, মিয়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে ভারতকে উন্মুক্ত শাসন নীতি পর্যালোচনা করতে হয়েছে। যাইহোক, ভারত সীমান্ত সম্প্রদায়ের প্রতি সংবেদনশীল, তাই বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে। জয়শঙ্কর বলেন, মিয়ানমারে খুব অস্থির পরিস্থিতির কারণে, আমাদের সেখানে উন্মুক্ত শাসন নীতি পর্যালোচনা করতে হয়েছে, তবে আমরা সীমান্ত সম্প্রদায়ের প্রয়োজনের প্রতি সংবেদনশীল, তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এবং প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো সীমান্তের ওপারে খুব কম সরকারী কর্তৃত্ব রয়েছে।

মানবকণ্ঠ/আরআই