সারাদেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা মানুষের। শীতের দাপটে মানুষের বাইরে গিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
এদিকে দেশের অন্তত তিনটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা এসব জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার রাতে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পঞ্চগড় ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আরও আটটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নেমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশের তাপমাত্রা গত এক দিনে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার দেশের আরও নতুন নতুন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দিনভর কুয়াশা থাকতে পারে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রোববার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও এতে জানানো হয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় শৈত্যপ্রবাহ বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। আগামী দুই দিন ওই শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments