Image description

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১৭২ জন ভর্তি হয়েছেন। এর ফলে চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৬ জনে। একই সময়ে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৪ জনে পৌঁছেছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে নতুন করে আরও একজন মারা গেছেন। মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি বরিশাল বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে বাস করেন।

বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৬৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন এবং রংপুর বিভাগে ১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া, মোট ৫৬৪ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়, এবং ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত বছর (২০২২) দেশে মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

২০২৩ সালে, মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গু জ্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশে এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমনভাবে দেখা না গেলেও, ২০২১ সালে সারাদেশে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ১০৫ জন মারা যান।

২০২২ সালে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, এবং ওই বছর ২৮১ জন মারা যান।