অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে সচিবালয় এলাকায় উৎসুক জনতার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যারিকেড দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ভোরের পর থেকে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকলে সচিবালয়ে সামনের সড়কে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে পুলিশের সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সাংবাদিক ছাড়া সচিবালয়ের মূল ফটক ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনের সড়কে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জিরো পয়েন্টের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে ওই সড়কে প্রবেশ করতে চেষ্টা করা ব্যক্তিদের পরিচয় ও কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ৮টা ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর একে একে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো বের করে গেটের সামনে অবস্থান নেয় বিজিবি সদস্যরা। এরপর সকাল নয়টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম এবং তার কিছুক্ষণ পর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।
এ সময় মাইকিং করে ফটকের সামনে অবস্থান নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশে ৫ নম্বর গেট দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের আহ্বান জানানো হয়।
যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে তাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, সড়ক পরিবহন সেতু বিভাগের অফিস রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে আগুনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাফতরিক কাগজপত্র পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments