Image description

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুরে জাহাজে ৭ জনকে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'সারবোঝাই এমভি আল বাখেরা জাহাজের ৮ কর্মীকে একজন কুপিয়েছে হত্যা করেছে, এটা একজনের একার কাজ হতে পারে না। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত ছিল সেটা জানতে সরকারের কাছে সঠিক তদন্ত দাবি করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা আমাদের সারাদেশে ১০ হাজার ছোট পণ্যবাহী নৌযান ও লক্ষাধিক শ্রমিকদের নিরাপত্তাও দাবি করছি। যারা ওই জাহাজে হতাহতের শিকার হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণও দাবি করছি।'

'দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে,' বলেন তিনি।

রবিবার রাতে চাঁদপুরের ঈশানবালা এলাকায় মেঘনা নদীতে সারবাহী কার্গো জাহাজ আল বাখেরার আট কর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে। আহতদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে মারা যান।

এ ঘটনায় ওই জাহাজের আরেক কর্মী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ইরফান বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ডে আছেন।

চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 'ইরফান এক বছর আগে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। আট মাস আগে তিনি ওই জাহাজে সুকানির চাকরি নেন।'

চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, 'এটা ব্যক্তিগত আক্রোশের ঘটনা ছিল। নদীতে নৌযানগুলো কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় নেই। নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সবসময় সতর্ক অবস্থায় আছে।'

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি