সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা এখনি বলা যাচ্ছে না: ফায়ারের ডিজি
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ের অগ্নিদগ্ধ ভবন পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। তিনি এ ঘটনার তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা- এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি।
আমরা এসেছি, বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে। অগ্নিদগ্ধ ভবন পরিদর্শন শেষে বেলা পৌনে ১টার দিকে তারা সচিবালয় থেকে বের হয়ে যান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সদস্যসচিব করে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে আট সদস্যের কমিটি গঠনের তথ্য এক অফিস আদেশে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ে আগুন লাগে। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করে, পরে তা বাড়িয়ে ২০ ইউনিট করা হয়। এ সময় সচিবালয়ের আগুন নেভাতে গিয়ে শোয়ানুর জামান নয়ন নামের এক ফায়ার ফাইটার ট্রাকচাপায় নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে মোট পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের নথি পুড়ে গেছে।
মন্ত্রণালয়গুলো হলো- যুব ও ক্রীড়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, স্থানীয় সরকার এবং সড়ক ও পরিবহন।
পুড়ে যাওয়া পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নথি অনলাইনে থাকার কারণে সেটি রিকভার (সংরক্ষণ) করা যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র সংরক্ষণ পুরোটাই অ্যানালগ পদ্ধতিতে হয়, এ মন্ত্রণালয়ের যে শাখাগুলোর নথি পুড়ে গেছে, সেগুলোর কতটুকু রিকভার করা যাবে তা নিরূপণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments