বর্তমান সরকার এক অর্থে সাংবিধানিক সরকারও নয় আবার বিপ্লবী সরকারও নয়। তিনি বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা দেখা যাচ্ছে, যা সরকারের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন শীর্ষক সংলাপে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল এবং এই অভ্যুত্থান একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসেছে। যারা এই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে বা আহত হয়েছে, তাদের ত্যাগ মূল্যায়িত হবে, তবে বর্তমানে সরকারের কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে হবে।
তিনি মন্তব্য করেন, বিগত সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো প্রক্রিয়া ছিল না এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী ছিল না। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হল, সামনের বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা।
সংবিধান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন সংবিধান বা সংবিধানের পুনর্লিখনের কথা বলছি, কারণ আমরা মনে করি মুজিববাদী বন্দোবস্তের মধ্যদিয়ে রচিত বর্তমান সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করেনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশি দেশের ইঞ্জিনিয়ারিংও বর্তমান সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে।
বৈদেশিক নীতির বিষয়ে নাহিদ ইসলাম জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন দলের বৈদেশিক নীতি ছিল ভিন্ন ভিন্ন। তিনি বলেন, আগামী বাংলাদেশে বৈদেশিক নীতি নতুনভাবে পরিকল্পিত হতে হবে এবং অর্থনীতি ও ব্যবসায় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments