Image description

৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্যদিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।

জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সব রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এই সমন্বয়ক। সেই সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। যদিও এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বলা আছে, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য ১৯৪৭ সাল যুদ্ধ করেছে, যেহেতু পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, যেহেতু ১৯৭২ এর সংবিধান আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, যেহেতু মার্শাল ল’ এবং সাংবিধানিক সংশোধনীসমূহ ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রকে দুর্বলতম করেছে। এই উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই অবস্থায় পার্লামেন্ট বিলুপ্তি ছাড়াও ’৭২ এর সংবিধান সংস্কার বা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি বিষয় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে। যা ৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে।

মানবকণ্ঠ/আরআই