দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ। অংশগ্রহণকারী এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এদিকে ফল প্রকাশের পর থেকেই মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা রাখার প্রসঙ্গটি আলোচিত হচ্ছে জোরশোরে।
জানা যায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য ২ শতাংশ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
তবে আজ রবিবার ফল প্রকাশের পর এ নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানাতে থাকেন মেডিক্যাল ভর্তীচ্ছু অনেক শিক্ষার্থী।
তাদের অভিযোগ, মেডিক্যাল অ্যাডমিশন পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
শিহাব প্রধান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সূচনাই হয়েছিল কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে।
মেডিক্যাল অ্যাডমিশনে যারা যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের অনেকেই সেই কোটার কারণে বঞ্চিত হবেন।
এ নিয়ে কথা বলেছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও। তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কিসের কোটা? আজ থেকেই এই শোষণের শেষ হতে হবে। ফুলস্টপ।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ) ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ বলেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পেতেন। তবে এ বছর শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাই কোটা সুবিধা পাবেন।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments