Image description

বস্তুনিষ্ঠ শক্তিশালী ও স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের দায়িত্ব আমাদের উপর দেয়া হয়েছে। কী কী পরিবর্তন আনা দরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা সেগুলো সুপারিশ আকারে পেশ করব। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে চলে আসে। সাহসী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রথম শর্তই তার উপযুক্ত বেতন ভাতা নিশ্চিত করা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৬ জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে আঞ্চলিক মতবিনিময় সভায় এসবকথা বলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।

এসময় সাংবাদিকরা তাদের বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিভিন্ন দিক কমিশনের কাছে তুলে ধরেন। কমিশন সব সমস্যার পর্যালোচনা করে যতটুকু সম্ভব সমাধানের আশ্বাস দেন। ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার ৬০ জন সাংবাদিকসহ কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান ও বেগম কামরুন্নেসা হাসান মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

কামাল আহমেদ বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের মধ্যে বেতন-ভাতার একটি বড় ধরনের বৈষম্য রয়েছে যেটি চলতে পারে না। সবার জন্য একটি ন্যূনতম বেতন কাঠামো তৈরির সুপারিশ করা হবে।

বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দূর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রেসের মালিক, কর্মচারী ও মিডিয়ার মালিক, সম্পাদক জোগসাজসে অনেক পত্রিকা বিজ্ঞাপনের রেট বৃদ্ধির জন্য তাদের সার্কুলেশন বাড়িয়ে দেখান, যেটি রীতিমতো দুর্নীতি। বহুল প্রচারিত পত্রিকাকে সরকারি বিজ্ঞাপন না দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার সার্কুলেশন বেশি দেখিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত করা হয়। এর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে।

এছাড়া সাংবাদিকদের হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করা হবে বলে জানান সংস্কার কমিশন।

মানবকণ্ঠ/আরআই