সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত নাসিমের হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণে বিএনপি নামধারী কাইয়ুম

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর তার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় তার দাদার নামে নির্মিত হাসপাতালটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তার মালিকানাধীন মনসুর আলী হাসপাতালকে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করেন বলে বিভিন্ন অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। বিগত সময়ে হাসপাতালটি বিএনপিপন্থি ডাক্তারদের জন্য প্রায় নিষিদ্ধ ছিল। নাসিম পুত্র জয় ২৪ এর গণঅভ্যুথানে ছাত্র হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় পলাতক জয়ের মালিকানাধীন হাসপাতালটি দেখভাল করার দায়িত্ব নেন বিএনপির কথিত নেতা আব্দুল কাইয়ুম। নাসিম পুত্র জয়ের থেকে মাসিক ১০ লাখ টাকা চাঁদার বিনিময়ে হাসপাতালটির দেখভাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় বিএনপির কথিত নেতা স্বৈরাচার হাসিনার পরীক্ষিত দোসর এম এ কাইয়ুম। এর আগেও কাইয়ুমকে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিলের মালিকানাধীন স্বদেশ প্রপার্টিজে নিজ থাবা বসান।
ঋতুর সাথে সাথে নিজেকে বদলানো কাইয়ুম সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়েছে বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে জানান এম এ কাইয়ুম এর স্বেচ্ছাচারিতা, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বে তাদের মাথা হেট হয়ে আছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে কাইয়ুমের বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগ গিয়েছে। ঢাকা উত্তরের বিএনপির ভোট ব্যাংক নষ্ট করছেন কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপি করা কাইয়ুম। কাইয়ুমের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আওয়ামী সখ্যতায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম পুত্র তানভীর শাকিল জয়ের কাছ থেকে মনসুর আলী হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝে নেয় বিএনপির নামধারী কথিত নেতা এম এ কাইয়ুম। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যেন এক কাইয়ুমই যথেষ্ট। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায় এম এ কাইয়ুমের আওয়ামী সখ্যতা ও বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে খুব শিগগিরই তাকে দলীয় সব ধরনের পদ-পদবি থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
Comments