Image description

সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাড়ি ফিরবেন। তিনি বলেন, ঈদের আগে সড়ক সংস্কার অত্যন্ত জরুরি, তাই আমরা প্রয়োজনীয় জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। আগামী ১৫ রোজার মধ্যে সমস্ত রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সড়ক ও রেলপথে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘ঈদের সময় গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, মহাখালী গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় সিসিটিভি বসানো হবে এবং সেগুলো মনিটর করা হবে। এগুলোর জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, এবার ঈদে যানজট কম হবে। কারণ অনেক ছুটি আছে, মানুষ ধাপে ধাপে যেতে পারবে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল নসিমন-করিমন এগুলো মহাসড়কের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তার পাশে হাট-বাজার ঈদের আগে যেন না বসে, সে জিনিসগুলো খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকা বাইপাসের কাজ চলছে, এটা ঈদের আগে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। বিআরটি করিডর ঈদের আগে একমুখী চলাচল করে দেওয়া হবে।’

ট্রেনের টিকিটের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঈদের সময় ১০টা বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। কোনো ট্রেনের ডে-অফ থাকবে না ঈদের সময়। ঈদে অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে ১৪ মার্চ। এই দিন দেওয়া হবে ২৪ মার্চের অগ্রিম টিকিট এবং ৪৪টা অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার জন্য। এ ছাড়া ট্রেনের সকল অগ্রিম টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে দেওয়া হবে এবং পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে দেওয়া হবে। প্রতিটি ট্রেনের ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হবে ট্রেনের যাত্রার আগে।’

সংবাদ সম্মেলনে মহাসড়কে ডাকাতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তারা মহাসড়কে টহল দেবে যাতে ডাকাতির মতো ঘটনা না ঘটে এবং রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্য থাকবে।’

ঈদের শেষের দিকে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সড়ক এবং রেল মন্ত্রণালয় থেকে টিম থাকবে। তারা নিজে এসব জায়গা পরিদর্শন করবে। ঈদে মানুষের যাতায়াতটা যেন সুন্দর হয়, এবার সেই ব্যবস্থাটা আমরা করার চেষ্টা করছি।

মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বলেন, সড়কপথে কোথাও কোনো ধরনের চাঁদাবাজি কেউ করতে পারবে না। এ রকম কোনো তথ্য পেলে আমাদের কাছে দিলে, আমরা ব্যবস্থা নেব।

মানবকণ্ঠ/আরআই