Image description

নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করি খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে (নির্বাচন) আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ আসবে। ফলে ঐকমত্য কমিশনের কাজের কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার কারণ আমি দেখি না। সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচনের যে টাইম-টেবিল তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত টাইম-টেবিল দেখিনি। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে।

সংস্কার ও ঐকমত্য কমিশনের কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আগামীকাল নির্বাচনের চেয়েও সবচেয়ে বড় বিবেচনা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামীতে কোন পথে অগ্রসর হবে তার একটি দিকনির্দেশনা।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনের বিবেচনার চেয়ে রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি। তবে রাষ্ট্র সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো বিভেদ কিংবা সম্পর্ক নেই।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে আলোচনা শুরু হবে।

আগামী বৃহস্পতিবারের (১৩ মার্চ) মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাদের মতামত ঐকমত্য কমিশনকে জানাবে বলেও আশা করেন তিনি।

মানবকণ্ঠ/আরআই