
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ২০২৫-এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না বলে সাবধান করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতে এ পোস্ট দেন।
এর আগে মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাইনি, দেখতেও চাই না। সব দলকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা একটা দীর্ঘ লড়াই করে এসেছি। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। নিপীড়ন, গুম, খুন হত্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলিত হতে পেরেছি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২০২৫ এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না। সাবধান!’
এর পর ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে আরেকটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেন, শাহবাগ একদিনে গড়ে উঠেনি। এককভাবে কেউ শাহবাগ গড়ে তুলেনি। শাহবাগ কায়েম করতে সমর্থন দিয়েছিল তথাকথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আমলা, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিদেশী এজেন্ট, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াবিদরাও।
জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা লিখেছেন, ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এ সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সকল অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমরা আশা রাখি, সকলের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত। পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সকল অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments