
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, জনগণের ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংস্কারের সংক্ষিপ্ত প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ‘বৃহত্তর প্যাকেজ’ গ্রহণ করলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ে।
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠককালে ড. ইউনূস এই অবস্থান তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা গুতেরেসকে বাংলাদেশে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করেন এবং জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে ইতিমধ্যে ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের লক্ষ্য গঠিত ছয়টি কমিশনের সুপারিশ মেনে নেয়, তাহলে তারা জুলাই চার্টার বা জুলাই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের রূপরেখা হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ‘বৃহত্তর সংস্কার প্যাকেজ’ চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ‘স্বচ্ছ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই, এই সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি। আমরা এখানে আপনার সংস্কারকে সমর্থন করতে এসেছি। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি। আমরা যা করতে পারি, আমাদের জানান।’
অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন, এই সংস্কার প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ আনতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, সংস্কার প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।’
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments