
নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন- ২০০০ সালের বেশকিছু সংশোধন আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হলে আমাদের কেবিনের সেটা নীতিগত অনুমোদন দেয়। ইতোমধ্যে আমরা কিছু মতামত পেয়েছি। সেই মতামতগুলো কাল-পরশু যাচাই-বাছাই করব। বৃহস্পতিবার এই আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি। সংশোধিত আইনে ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধানও রাখা হয়েছে।
এ আইনের বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, শিশু ধর্ষণ মামলা আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাই নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে-সম্মতি নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে ধর্ষণ একটা আলাদা অপরাধ। সম্মতি ব্যতীত যে ধর্ষণ সেটার বিচার ও তদন্তের সময় কমানো হয়েছে। যেকোনো ধর্ষণ হলে আমরা এই আইনের আওতায় আনছি। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অনেক মামলা বছরের পর বছর পরে থাকে।
তিনি আরও জানান, আমরা এই আইনে বিধান করেছি, ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে, মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক স্বার্থের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত বিচার করবে। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে যদি গুরুতর আহত করা হয় সেটারও গুরুতর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Comments