Image description

বরিশালে বালুমহাল ইজারা দরপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে এক সেনা সদস্যকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে উঠেছে। এই অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মামলাটি করেন চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মতিন কাজী। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আদালতে উপস্থিত করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বরিশালের হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন (৪২), জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নূর হোসেন সুজন (৩৫) ও হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার (৩৫)।

এ ছাড়া পলাতক আসামিরা হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম মিঠু, বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ রাঢ়ী, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল রিচমার্টে মালিক বেলায়েত হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নিজামুর রহমান নিজাম ও সদস্যসচিব কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম, নগরীর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা রুবেল, গণপাড়ার মো. জাহিদ। 

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিসি ভবনে রিচমার্ট হোটেল থেকে আটক তিনজনকে মঙ্গলবার থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বাদী মতিন কাজীর ব্যবসায়ীক অংশীদার ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী আব্দুল বাসেত জানান, বরিশালের হিজলা উপজেলার বালুমহাল ইজারা নিতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দরপত্র জমা দিতে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় যান তারা। এতে বাধা দেন আসামিরা।

জোর করে দরপত্র জমা দিলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আসামিরা মতিনের ভাতিজা সেনা সদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অপহরণ করে লঞ্চঘাট এলাকায় রিচমার্ট হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তিনি নিজেকে সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পরিচয় দেয়ার পরও তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণলংকার, আইফোন এবং নগদ টাকা রেখে দেয়।

আব্দুল বাসেত জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে। হোটেলে আরও অনেকে থাকলেও তারা নানা কৌশলে পালিয়ে যান।